Israel Gaza War Ceasefire: মধ্য প্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগর উত্তাপে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল এক অংশ।। বর্তমানে ইজরায়েল ও ফিলিস্তিন কেন্দ্রিক সংঘাত আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। অক্টোবর 2025 একটা একটা অপ্রতিরোধ্য পরিস্ফুটন ঘটল। ইজরায়েল মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতির সমর্থন ঘোষণা করল, যার প্রেক্ষিতে সেনা প্রত্যাহার শুরু করা হলো। এই সিদ্ধান্তকে যুদ্ধ বিরতির প্রথম বাস্তব হাতিয়ার বলা যেতে পারে।
সেনা প্রত্যাহার হলে একটি সুপুষ্ট রাজনৈতিক ও মানবিক সংকেত। যে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির পথে এগোচ্ছে। গাজা অঞ্চলের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা, নাগরিকদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া ও ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় পুনর্বাসনের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
যুদ্ধে থাকা অবস্থায় বহুদিকেই মানবিক চ্যালেঞ্জ গড়ে উঠেছিল বাসস্থান ধ্বংস, অবকাঠামোর ধ্বংস, স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত। যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী কার্যকর হলে এসব সমস্যা মোকাবিলা করার সহজ হবে। ইতিমধ্যে বন্দী মুক্ত করার শুরু হয়েছে।
তবে এ যুদ্ধবিরতি শুধু ঘোষণার বিষয় নয়, এটি কার্যকর করার প্রয়োজন। দুই পক্ষকে নির্ধারিত শর্ত ও সময়সীমা মেনে কাজ করতে হবে। যে কোন ভুল পদক্ষেপ পুরো বিষয়টিকে আবারো উত্তাপে ফিরিয়ে আনতে পারে।
গাঁজার সাধারণ মানুষ আরো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকায় ফিরবার পথে অনেক বাধা রয়েছে। সড়ক, চিকিৎসা সেবা, পানি, বিদ্যুৎ সবকিছু পুনর্বাসন করতে হবে। যুদ্ধবিরোধী সুযোগ আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রবল ভাবে জরুরী। ত্রাণ কর্মসূচি প্রয়োজন, বিশেষ করে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বৃদ্ধির গুরুত্ব দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই যুদ্ধ বিরোধী সাফল্যের দিকে নজর রাখছে। মধ্যস্থতা, মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ অর্থ ও পুনর্বাসন সহায়তা সবই দরকার। অনেক দিয়ে ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে তহবিল পুনর্গঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদের বিজ্ঞপ্তি, ৮,৪০০ বেশি শূন্য পদে আবেদন শুরু নভেম্বর থেকে
যুদ্ধবিরতির পথটা উঁচু শুরুর ধাপে সেনা প্রত্যাহার তাহার ও বন্দী বিনিময় হল ভাবে ধাপে ধাপে শান্তির দিকে যাওয়া। যদি প্রক্রিয়া সফলভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়। গাজায় একটা নতুন শুরু হতে পারে। কিন্তু কিছু ভুল হলে তা পুরো পরিকল্পনা নষ্ট করতে পারে।
সর্বোপরি, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণাকে বাস্তব রূপ দেওয়া। দুই পক্ষকে মনোযোগ দৃঢ়তা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে। গাজাতে শান্তির এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে, যদি সবাই সঠিক পথে এগোয়।