Air Pollution Pocket Detector Machine 2025: বায়ু দূষণ যেন আজকের নাগরিক জীবনের এক নিত্য সঙ্গী। প্রতিদিন আমরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে নিচ্ছি বিষাক্ত গ্যাস যার ক্ষতি প্রভাব ফেলছে আমাদের ফুসফুস হৃৎযন্ত্র ও পুরো শ্বাস প্রণালীর ওপর। বিশেষত হাঁপানি ও সি ওপিডির রোগীদের ক্ষেত্রে এই দূষণ হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী। দিনে দিনে ভয়াবহ উঠছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা গুলোতে।
আজকের প্রতিবেদনে এই ভয়াবহতার রেহাই নিয়ে হতে চলেছে –
কিন্তু এবার দূষণের মাত্রা চোখে দেখা না গেলেও হাতে ধরা যাবে তাও আবার একটি ছোট পকেট সাইজ যন্ত্রের মাধ্যমে (Air Pollution Pocket Detector Machine). ভারতের বিজ্ঞানীদের (Indian Scientist) এক নতুন উদ্ভাবন সেই স্বপ্নকেই বাস্তব রূপ দিয়েছে। বেঙ্গালুরুর Centre for nano and matter science তৈরি করেছে এমন একটি পকেট সাইজ সেন্সার যা বাতাসে থাকা সালফার ডাই অক্সাইড এর (Salfar Dai Oxide) উপস্থিতি নিখুঁতভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম।
এই মেশিন কী কী তথ্য এনে দেবে? (Air Pollution Pocket Detector Machine 2025)
অত্যন্ত হালকা ও সহজ বহনযোগ্য এই ডিভাইস সাধারণ মানুষকে নিজের চারপাশের বাতাসের গুণমান সম্পর্কে দ্রুত তথ্য দিতে পারবে। যা তাদের ব্যক্তিগত সতর্কতা নিতে সাহায্য করবে।
সালফার ডাই অক্সাইড (Salfar Dai Oxide) একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর গ্যাস যা মূলত যানবাহনের কালো ধোঁয়া শিল্প কারখানার নির্গমন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: এবার বলিউড কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরা কোলকাতায় মাস্টার ক্লাস নিতে চলেছে!
প্রাণনাশও হতে পারে?(Air Pollution Pocket Detector Machine 2025)
এই গ্যাস বাতাসে মিশে গেলে ত্বকে জ্বালা, চোখে জ্বালা, শ্বাসকষ্ট, এমন কি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাস প্রণালী রোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে দীপাবলি ও অন্যান্য উৎসবের সময়ে যখন ব্যাপক হারে বাজি ফাটে, তখন এই গ্যাসের পরিমাণ হু হু করে বেড়ে যায়।
কিভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি? (Air Pollution Pocket Detector Machine 2025)
পকেট সেন্সারটি এমন একটি প্রযুক্তিভ যা দূষণ মাত্রা সাধারণ মানুষের কাছে সহজ উপলব্ধ করে তুলবে। এতদিন পর্যন্ত বাতাসে দূষণের মাত্রা পরিমাপ করতে যে ধরনের সেন্সর বা যন্ত্র ব্যবহৃত হতো, তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং স্থায়ীভাবে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসানো থাকতো ফলে প্রতিটি ব্যক্তি চারপাশের বাতাসে গুনমান জানা ছিল দুঃসাধ্য।
এই নতুন সেন্সার সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে দিচ্ছে। ছোট হালকা ও পোর্টেবল হওয়ার ফলে এই সেন্সারটি সহজেই যে কোন স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এমনকি সাধারণ মানুষও এটি ব্যবহার করে নিজেই দূষণ মাত্রা যাচাই করতে পারবেন।
কী বলছেন বিজ্ঞানীরা, এই মেশিনের ব্যাপারে?(Air Pollution Pocket Detector Machine 2025)
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সেন্সরটি মোবাইল ফোনের মতো আকারে তৈরি হওয়ার একটি পকেটেই রাখা যায়। এটি মুহূর্তের মধ্যে বাতাসের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দিতে পারে, কোন এলাকায় দূষণ বেশি এবং কোন জায়গার বাতাস অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার। এতে করে সংবেধানশীল মানুষ বিশেষ করে হাঁপানি ও সিওপিডি রোগী সহজে এড়িয়ে চলতে পারবেন দূষিত অঞ্চল গুলি।
এই ডিভাইসটি পরিবেশ প্রেমীদের কাছেও এক বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে, বিভিন্ন দূষণ প্রবণ এলাকায় বাস্তব সময়ের ডেটা সংগ্রহ করতে, কিংবা সরকারি দূষণ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই মেশিন যত তাড়াতাড়ি বাজারে সহজলভ্য হবে ততই উপকার পাবে, সমাজের মানুষেরা।
পরিবেশ বিদ্যার মতে, শুধু কেন্দ্রীয় স্তরে দূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা ও পরিমাপযোগ্য তথ্য দরকার রয়েছে। এই পকেট সেন্সর সেই সচেতনতা ও অংশগ্রহণের পথ খুলে দিচ্ছে।সব মিলিয়ে বলা যায় ,দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই এর এই এক নতুন প্রযুক্তিগত সংযোজন। সাশ্রয় ও কার্যকারী এই যন্ত্র সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে – এমনটাই আশা বিজ্ঞানীদের।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে (Air Pollution Pocket Detector Machine 2025),
বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই মাস্ক পড়ে বেরোতে হবে। নাহলে দূষিত বায়ুদূষণএ শ্বাসকষ্টের প্রভাব বাড়বে। প্রচুর পরিমাণে গাছপালা লাগাতে হবে। জন সচেতনতা বাড়াতে হবে। সমাজে মানুষজনকে সজাগ হতে হবে এই নিয়ে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত সমস্যা হলে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আজকের মতন খবর এই টুকুই। দেখা হচ্ছে অন্য কোন খবরে। ভালো থাকবেন, ফলো রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইট। নিত্যনতুন খবরের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়ে থাকি আমরা। তাই আপনাদের সহযোগিতা একান্তই কাম্য। দেখা হচ্ছে অন্য কোন খবরে। ততক্ষণ জুড়ে থাকুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।