আবহাওয়া খুঁটিনাটি কৃষিকাজ প্রকল্প প্রযুক্তি চাকরি ব্যবসা বাণিজ্য লাইফস্টাইল প্রযুক্তি লাইফস্টাইল শেয়ার মার্কেট অন্যান্য

India Relation With Bangladesh: নয় বছর পর নতুন অধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য ও সাক্ষাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার

Published on: June 24, 2025
India Relation With Bangladesh

India Relation With Bangladesh: বিগত বছর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক (India Relationship with Bangladesh) প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। এরই মধ্যে কোনোরূপ ব্যবসা-বাণিজ্যের (Business Related Relationship) সম্পর্ক নতুন দিকে এগোয়নি।

কিন্তু এর মধ্যেই একটু অন্যরকম সুর দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। প্রায় নয় বছর পর বাংলাদেশের হাইকমিশনের (Bangladesh High Commissioner) সঙ্গে বসতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কোন দিকে বিষয়বস্তু এগোয় সেদিকেই চোখ সবার।

India Relation With Bangladesh আলোচনা সাপেক্ষে

India Relation With Bangladesh : Recent Developments

দীর্ঘ 9 বছর পর সোমবার নবান্নে এক ঐতিহাসিক সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লীতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে ।

এটি শুধু একটি কূটনৈতিক সাক্ষাৎ নয়, বরং দুই বাংলার মধ্যে ঐতিহ্য কত সংস্কৃতি ও মানসিক সম্পর্ককে নতুন করে জোড়ালো করার এক তাৎপর্যপূর্ণ প্রয়াস।

India Relation With Bangladesh Cultural সম্পর্ক

দুই দেশের প্রতিনিধি হিসেবে এই দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির আলোচনায় উঠে আসে ভাষা , সংস্কৃতি ,ও ইতিহাস এবং একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া আত্মিক বন্ধনের প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে বাংলাদেশ নবনিযুক্ত হাই কমিশনারকে স্বাগত জানান এবং ওপার বাংলার জনগণের প্রতি তার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান ।

তিনি জানান, “পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে চিরাচরিত ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধকেন্দ্রিক আত্নিক সম্পর্ক রয়েছে তা কেবলমাত্র অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্কের সীমার মধ্যে নয় বরং তার চেয়ে অনেক গভীর “

এই সাক্ষাতের সময় মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনুস এর উদ্দেশ্যে তার শুভেচ্ছা জানানোর অনুরোধ করেন হাই কমিশনারকে।

Indian Relation With Bangladesh বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের উপ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দিল্লিতে নবনিযুক্ত বাংলার দেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ ।অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে দুপক্ষই আশাবাদী।

দুটি দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা আরো গভীর করার জন্য ভবিষ্যতে এমন সংযোগ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

প্রতিনিধি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের কূটনৈতিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে তার হাতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও শাড়ি তুলে দেন। বাংলার প্রতি কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নিঃসন্দেহে দুইদেশের সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

এদিকে তথ্য বলছে- ২০১৬ সালের তৎকালীন ঢাকার হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ ৯ বছরে কোন হাইকমিশনারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়নি ।তাই এবারের সাক্ষাৎ কেবলমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ নয় বরং এটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা ।

বিশেষত বাংলাদেশের রাজনৈতিক রদবদলের পটভূমিতে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী প্রশাসনিক কাঠামোর চর্চার কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে এমন এক উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করা হচ্ছে ।

এই বৈঠক শুধু দুই বাংলার মধ্যে ঐক্য ঐতিহ্যের পুনঃ প্রতিষ্ঠান নয়, বরং আগামীদিনে অর্থনৈতিক সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক সম্পর্ককে নতুন দিশা দেখাতে পারে এমনটাই আশা কূটনৈতিক মহলের।

কিন্ত কয়েক বছরের ঝামেলার আচ পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট পড়েছে পশ্চিম বঙ্গের এবং বাংলাদেশের সম্পর্কে। গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভেদ দিনকে দিনেই বেড়েই চলেছিল।

শেখ হাসিনার সরকারের সময় যখন ছিল, তখন রাজ্যের তথা দেশের সাথে সম্পর্ক এতটা খারাপ ছিল না। কিন্ত সে দেশের ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে সম্পর্কের পরিণতি আরো খারাপ হয়েছিল।

ইউনূস সরকার ২০২৪ সাল থেকে গদিতে বসার পর থেকে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা ছিল সেই দেশের সরকার এবং জন সাধারণের মধ্যে। তবে সরকার পাল্টালেও সেই দেশের জন সাধারণের অবস্থা মোটেও পরিবর্তন হয়নি এমনটাই দাবি বিভিন্ন সংবাদ মহলের।

এটাও আপনাদের জানিয়ে রাখি, আগের বছরের ধর্ম ঘটের জন্য এখনো পর্যন্ত অনেক স্টেশন পরিত্যক্ত এবং জন শৃঙ্খল বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। যদিও সেই দেশের মানুষ আগের বছর থেকে পুলিশের উপর নয় বরং দেশের সেনা বাহিনীর উপর ভরসা রেখেছে।

তবে এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের হাই কমিশনার এর কী আলোচনা হয়,সেটার দিকেই তাকিয়ে দুই দেশ।

আজকের মতন এই টুকুই। দেখা হচ্ছে , পরবর্তী খবরে।

Taaza Somoy

নমস্কার, আমি ঐন্দ্রি/ মৌ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি নিত্য নতুন চাকরির আপডেট নিয়ে আসার। যাতে যারা হতাশায় ভুগছেন, তাঁরা কিছুটা হলেও হেল্প পান। আমি নিজের স্বল্প লেখার অভিজ্ঞতাঃ থেকে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। তাই পাশে থাকার একান্ত অনুরোধ রইলো আপনাদের সকলের কাছে।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment