INDIA vs ENGLAND: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট (India vs England) অধিনায়ক শুভমন গিলের (Shuvnam Gill) কাছে অবশ্যই তাঁর ক্যারিয়ারের সবথেকে কঠিন টেস্ট সিরিজ হতে চলেছে। কারণ প্রথমত এই টেস্ট সিরিজে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির (Rahit Sharma and Virat Kohli) মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ছাড়াই তাঁকে মাঠে নামতে হবে।
আর দ্বিতীয়ত অধিনায়ক হিসেবে, বাড়তি দায়িত্বের বোঝা অবশ্যই তার ঘাড়েই এসে চাপবে। কিন্তু এতগুলি চাপ মাথায় নেওয়ার পরেও গতকাল যখন হেডলটিতে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অধিনায়ক শুভমন গিল (Shubnam Gill) প্র্যাক্টিস করছিলেন, তখন তাঁকে দেখে একবারের জন্যও বোঝা যায়নি যে কতটা চাপ মাথায় নিয়ে তিনি এই টেস্ট সিরিজটি খেলতে নামছেন।
শুভনম গিল কী বলেছেন India vs England ম্যাচে?
কারণ প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডে তিনি ঠিক সেই কাজটিই করছিলেন যা তিনি সবসময় করতে ভালোবাসেন, সেটি হল, প্র্যাক্টিস, প্র্যাক্টিস আর প্র্যাক্টিস। আর শুধু প্র্যাক্টিসই নয় বরং তার সাথে সাথেই দলের সতীর্থদের সাথে হাসি-মস্করাও সমান তালে যাচ্ছিলেন তিনি। আর তা হবে নাই বা কেন? দিনের শেষে নিজের দলকে চাঙ্গা রাখার দায়িত্ব তো একজন ক্যাপ্টেনকেই নিতে হয়। কিন্তু সবথেকে বড় কথা হচ্ছে এটাই যে এই টেস্ট সিরিজটি শুভমন গিলের (Shuvnam Gill)জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ। শুভমন গিল
অস্ট্রেলিয়ার সাথে কিছুদিন আগেই একটি টেস্ট সিরিজ খেলার পরেই নিজের ব্যাটিং পজিশন বদলে নিয়েছেন গিল। প্রথমে ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করার পর, গিল ঠিক করেছিলেন যে তিনি ৩ নম্বর পজিশনেই ব্যাটিং করবেন। কিন্তু বিরাট কোহলি খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর ফের একবার সিদ্ধান্ত বদল করেন গিল,এবং ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। এই বিষয়ে গিল নিজেই বলেছেন,”বিরাট ভাই অবসর নেওয়ার পরেই আমি গৌতম গম্ভীর স্যারের সাথে আমার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে আলোচনা করি। তিনি আমায় বলেন যে আমার ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করা উচিত। আমি বলেছিলাম আমরাও তাই মনে হয়।” তাই এই নতুন ব্যাটিং পজিশনে এসে, টিমের হয়ে বাড়তি রান সংগ্রহ করার চাপ, অবশ্যই শুভমন গিলকে নিতে হবে।
ক্যাপ্টেনের নতুন দায়িত্ব ( India vs England ম্যাচে)
ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব যখন গিলের কাঁধে এসে পড়েছিল, তখন অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। কেউ কেউ যেমন এই বিষয়টিকে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হিসেবে দেখেছিলেন, আবার কেউ কেউ গিলের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। ম্যাচের আগে একটি প্রেস কনফারেন্সে যখন গিলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি টি২০ আর টেস্ট ক্রিকেটের মধ্যে কোনটিকে বেঁছে নিতে চান তখন তিনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটকে বেঁছে নিয়েছিলেন।
আবার টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে যখন তিনি বলেছিলেন যে,”টেস্ট ক্রিকেটে আপনি যদি বিপক্ষের ২০টি উইকেট না তুলতে পারেন,তাহলে আপনি যতই রান করুন না কেন, আপনি জিততে পারবেন না। তাই আমরা আমাদের টিমে ৬ জন ব্যাটসম্যান, একজন বোলিং অলরাউন্ডার, আর তিন-চারজন বোলার নিয়েই মাঠে নামতে চাই।” তখন তিনি শুধুমাত্র নিজের এই উত্তরের মাধ্যমেই এটা প্রমান করে দিয়েছিলেন যে, তিনি এই টেস্ট সিরিজটি নিয়ে ঠিক কতটা সিরিয়াস।
আবার ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের দায়িত্ব শেষ করার পরেই তিনি সোজা গৌতম গম্ভীরের সাথে চলে গেলেন পিচ দেখতে। আর তা হবে নাই বা কেন ? ক্যাপ্টেনশিপের দায়িত্ব সামলানোর সাথে সাথে, ব্যাট হাতেও যে তাকে জ্বলে উঠতেই হবে এই সিরিজে।
India vs England ম্যাচে অধিনায়ক বলছেন:
তাই তো এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেই তিনি হাসতে হাসতে বলেন,”আমি যখন ব্যাট করতে নামি, তখন আমি এটা একবারের জন্যেও মাথায় আনি না, যে আমি আমার টিমের ক্যাপ্টেন। কারণ এটি আমার মাথার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আমি ব্যাট করতে নামি শুধু একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে। যার একমাত্র লক্ষ্য হল নিজের বিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা,আর সিরিজের সবথেকে বেস্ট ব্যাটসম্যানের খেতাব অর্জন করা।” কতটা কনফিডেন্স থাকলে এত চাপ মাথায় নিয়েও হাসতে হাসতে এই কথা বলা যায়। তাই তো আমাদেরও মনে হয় যে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব সবথেকে সঠিক হাতেই গেছে।