Iran-Israel Issues Today: ইরানের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে পশ্চিম এশিয়ার কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলল। গাজায় যুদ্ধ বিরতি আহ্বান জানানো সত্বেও এবার ইজরাইলের পাশে দাঁড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ৫১ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৪৩৬৫ কোটি টাকার সমরসজ্জা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন দিশা আনতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। (Iran-Israel Issues Today)
মার্কিন ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি কো অপারেশন এজেন্সি‘ জানায় এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সংস্থার ভাষায় এই সরঞ্জাম ইসরায়েলকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হামলা মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এটি তাদের সীমান্ত নাগরিক কাঠামো এবং জনবসতি সুরক্ষিত করতে সহায়ক হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেস থেকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি।(Iran-Israel Issues Today)
এই অস্ত্র চুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো বম গাইডেন্স কিট যা দিয়ে অত্যন্ত নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুকে হামলা চালানোর সম্ভব। গাইটেট বোমার এই উন্নত প্রযুক্তি ইজরাইল স্ট্রাইক ক্ষমতা বহুগুণ বাড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই প্যাকেজের রয়েছে প্রায় সাত হাজার জয়েন্ট ‘direct attack munition’ যা গাইডেড বোমা হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে BLU-109 বোমার জন্য ৩৮৮৫ টি KMU-558B/B JDAM এবং বোমার জন্য ৩২৮০ টি KMU-57F/B JDAM কিট।এই অস্ত্র সাহায্যে ইজরাইল ভবিষ্যতে শত্রুপক্ষের ওপর আরো নিখুঁত ও দূরপাল্লার হামলা চালাতে পারবে।(Iran-Israel Issues Today)
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের সামরিক উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। গত ১৩ই জুন ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর দু পক্ষের মধ্যে এক সপ্তাহের ও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলছে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হয়, তবে ততদিনে ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ভারত দশকে যাত্রা থেকে বিশ্ব নেতৃত্বের পথে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
সামরিক বিশ্লেষক্তের মতে এই ক্ষয়পূরণ করতে এত দ্রুততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলকে সমরসজ্জা সরবরাহের সম্মতি দিয়েছে। মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইজরায়েল ফের পশ্চিম এশিয়ার কিছু নির্ধারিত এলাকায় হামলা চালাতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলছে।
প্রসঙ্গত দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হবার পর গাজায় যুদ্ধ বিরতির পক্ষের সওয়াল করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ইরান ঘিরে উত্তেজনার আবহে এখন তার অবস্থান বদলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল আমেরিকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলেই বিশ্লেষণ। পাশাপাশি এতে পশ্চিম এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য নতুন মোড় নিতে পারে যেখানে ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য হয়ে উঠবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্ত্র চুক্তি শুধু যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, বরং কৌশল কত প্রভাব খাটানোর কৌশল যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আবারো ইঙ্গিত দিল, মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে তারা এক পা পিছিয়ে নেই।