Kapil Sharma’s 21-21-21 Formula for Weight Loss: ওজন কমাতে অনেকেই চান। কিন্তু এই ওজন কমানো (Weight Loss) নিয়ে এক একজনের এক এক মতামত। কেউ বলেন কার্ডিওর উপর জোর দিতে। কেউ আবার বলেন ওয়েটলিফটিং (Weight lifting). কেউ বলেন শক্ত ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর কথা। কেউ বলেন ‘সব খেয়েও রোগা থাকা যায়। কিন্তু এই রোগা থাকার মূলমন্ত্রটা কি (Kapil Sharmas 21 21 21 Formula for Weight Loss)?
সম্প্রতি কপিল শর্মা (Kapil Sharma) , করণ জোহার (Karan Johar), কুশা কপিলার (Kusha Kapila) মতো সেলিব্রিটির ওয়েটলুজ করে তাঁদের লুকই পালটে দিয়েছেন। সেই রোগা হওয়ার পেছনে অবশ্য হাই পেইড ট্রেইনার রয়েছেন। কিন্তু তাঁরাই বা কি টিপস দিচ্ছেন? (Celebrities’ Weight Loss Magical Point) আসুন দেখে নেওয়া যাক।
ওয়েট কমাতে সেলিব্রেটির ট্রেনার কী বলছেন?
ওজন কমাতে ‘২১-২১-২১’ নীতি প্রয়োগ করার কথা বলছেন কপিল শর্মার প্রশিক্ষক। অল্প সময়ে কী ভাবে ওজন কমানো সম্ভব, তার ব্যখ্যা দিলেন এই সেলিব্রিটি কমেডিয়ানের পার্সোনাল ট্রেইনার।
যোগেশ ভাতিজার অনিয়মিত জীবন যাপন কী বলছে?
পাঞ্জাবি পরিবারের “হেলদি” এই যুবক এক সময় নিয়মিত মদ্যপান এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করত। এই জীবনেই অভ্যস্ত ছিল। এই কারণে অনেকটাই ওজন বেড়েছিল তাঁর। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করেছেন তিনি? জানিয়েছেন ফিটনেস ট্রেইনার যোগেশ ভাতেজা।(Kapil Sharmas 21 21 21 Formula for Weight Loss)
যোগেশের কথায়, ‘ওজন কমাতে কপিল ২১ ২১ ২১- নিয়ম অনুসরণ করে সফল হয়েছেন।’ কিন্তু কিভাবে হয় এটা? যোগেশের মতে, সুস্থ জীবন যাপনের তাগিদ অনুভব না করলে অনেকেই তাঁদের দৈনন্দিন ডায়েটকে বিশেষ পাত্তা দেন না। বাড়িতে খাওয়াদাওয়া চলতে থাকে। একই সঙ্গে বাইরে বেরোলে ভাজাভুজিও খেয়ে থাকেন অনেকে। ফলে ওজন যে বাড়ছে, তা অনেকেই খেয়াল করেন না।
কিন্তু যখন কেউ দৈনিক ক্যালোরির খবর রাখেন বা কী খাচ্ছেন, তা খেয়াল করেন, তখন নিজে থেকেই তাঁর জীবন বদলাতে শুরু করে। একই সঙ্গে ব্যক্তির জীবনধরন সবকিছুই বদলে যায়। তাই ওজন কমাতে গেলে মানসিক দিক থেকে আগে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: কেন সবাই কুল ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়ে? গবেষণা বলছে এই কারণেই
এরপরে আসে শারীরিক কসরতের কথা। কপিলের ক্ষেত্রে যোগেশ এই নীতিই অনুসরণ করেছেন। ডায়েট বা শরীরচর্চা শুরুর পর, তাতে শরীর কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা বিচার করেই এগনো উচিত বলে মনে করেন যোগেশ। ডায়েটের পাশাপাশি কার্ডিয়োর উপরে জোর দেন তিনি।(Kapil Sharmas 21 21 21 Formula for Weight Loss)
‘২১-২১-২১’ নিয়ম কী? কপিলের এই নীতিতে দৈনন্দিন ডায়েট এবং শরীরচর্চাকে ২১ দিনে এবং তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়-
১) প্রথম ২১ দিনে শরীরের বিভিন্ন স্ট্রেচিংয়ের (Stretching) উপরে জোর দিয়েছিলেন কপিল। ডায়েট করার কোনও প্রয়োজন থাকে না। এই মুহূর্তে কমতে পারে ওয়াটার ওয়েট।
২) দ্বিতীয় ধাপে ২১ দিনের মধ্যে ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। যেমন, চিনি বাদ দিয়ে গুড় খাওয়া, স্টিভিয়া ইনক্লুড করা, খাবারে সবজির পরিমাণ বাড়ানো, এবং গভীর রাতে খাওয়া এড়ানো। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও চালিয়ে যেতে হয়।
৩) তৃতীয় ধাপে পরবর্তী ২১ দিনে ধূমপান, মদ্যপান এবং কফির উপর নির্ভরতা কমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। কপিলও এই ধাপগুলি মেনে চলেছিলেন। যোগেশের মতে, এসব অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ এলে মানুষ নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে শুরু করে এবং সুস্থভাবে বাঁচার প্রতি মনোযোগ বাড়ে।
যোগেশ জানান, এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ৪২ দিনের মধ্যে শরীর ও মানসিকতায় নানা পরিবর্তন ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘এরপর নিজেকে ভালো রাখার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়, আর খারাপ অভ্যাসগুলো অনেকটাই কমে যায়।’ তাঁর মতে, ৬৩ দিনের পর বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই সুস্থভাবে জীবন কাটানোর ইচ্ছা গড়ে ওঠে, তখন আর কারও অনুপ্রেরণার দরকার হয় না।(Kapil Sharmas 21 21 21 Formula for Weight Loss)
এছাড়াও একবার অভ্যেসে ঢুকে গেলে সেটা থেকে বের হওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ডায়েট, এক্সারসাইজ সবমিলিয়ে একটি অভ্যেস তৈরি করে ফেলুন। আর এতেই হবে বাজিমাত!
আসুন জেনে নিন, এই বিষয়ে চিকিত্সকদের কী মতামত থাকে –
যে কোন পুষ্টিবিদ ডক্টর বলেন , ওজন কমাতে গেলে খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে এমন কোন ব্যাপার নয়। এতে ভালো হওয়ার বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য সঠিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
খাবারের মধ্যে ফল ও সবজি থাকা আবশ্যক। প্রোটিন জাতীয় খাবারের জন্য মাছ, মাংস, ডিম থাকা প্রয়োজন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়ামের পিছনে সময় ব্যায় করা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুমের একান্ত প্রয়োজন। অনেকে না ঘুমিয়ে এক নাগাড়ে কাজ করে যান। এতে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। স্ট্রেস কমাতে যোগ ব্যায়ামও যথেষ্ট কার্যকর।(Kapil Sharmas 21 21 21 Formula for Weight Loss)