Sheikh Hasina sentenced in contempt Case 2025: প্রথমবারের মতো দেশে ফেরার আগেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১। ঢাকা ট্রিবিউন এর এই প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
এই রাইটি দিয়েছেন ৩ সদস্যের একটি বিচারক বেঞ্চ যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মজুমদার। আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ফোনালাপের সঙ্গী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতা মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। (Sheikh Hasina sentenced in contempt Case 2025)
কি ছিল মামলার প্রেক্ষাপট?
এই মামলা সংক্রান্ত মূল বিষয় ছিল ২০২৩ সালের অক্টোবর এ ফাঁস হওয়া একটি ফোন আলাপ, যেখানে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বর বলে দাবি করা এক নারীকে বলতে শোনা যায়,” আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে তাই আমার ২২৭ জনকে মেরে ফেলার লাইসেন্স আছে” । এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে।(Sheikh Hasina sentenced in contempt Case 2025)
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এমন বক্তব্য আদালতের প্রতি অসম্মান এবং বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য দেওয়া হয়েছে। এটি চলমান বিচারের প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং বিচারক ও আইন প্রক্রিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করতে পারে।
শেখ হাসিনার প্রবাস জীবন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন। দেশে চলমান গন আন্দোলন এবং ব্যাপক অস্থিরতার পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারায় এরপর থেকেই শেখ হাসিনার দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এই মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে একটা প্রথম ঘটনা, যেখানে তিনি দেশে ফেরার আগে কোন মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত হলে এর মাধ্যমে আদালত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ,যে আইনের শাসনের আওতায় সবাই সমান এবং ক্ষমতাসীল রাজনীতিবিদরা ও আইনের উর্ধে নন।(Sheikh Hasina sentenced in contempt Case 2025)
আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় ভয়াবহ ফ্যাক্টরি বিস্ফোরণে ১০ থেকে বেড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪
সহ অভিযুক্ত শাকিল আকন্দ বুলবুল
এই মামলায় আরো দণ্ডিত হয়েছেন শাকিল আকন্দ বুলবুল ,যিনি ঢাকার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং বাংলাদেশের ছাত্রলীগের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ফাঁস অফ ফোনালাপের অংশ ছিলেন এবং শেখ হাসিনার বিতর্কিত মন্তব্যে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটি কে রাজনৈতিক প্রতিষেধ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই এটিকে আদালতের স্বাধীনতার পরিচায়ক বলে অভিহিত করছেন।
রায় ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মুখপাত্র বলেন,” আদালতের মর্যাদা রক্ষার জন্য এই ধরনের মন্তব্য ও আচরণ বরদাস্ত করা হবে না” যেই হোক না কেন আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান।
এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও প্রবাসে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের আইনে অবস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।।