Train disaster for 62 Lacks Rupees বর্তমান সময়ে রেল দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এরকম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা অন্তর্গত বারুইপুর স্টেশনে। এই দুর্ঘটনার ফলে কম করেও হলে ৬২ লক্ষ্ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন (Train disaster for 62 Lacks Rupees) হয়েছে রেল।
গত বুধবার রাত থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন (Shealdah – Baruipur Station) আধুনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং (Modern Inter Locking Signal) রুমের সামনে কাজ করছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। সেই সময় ছিঁড়ে যায় ট্রেনের সিগন্যালিং তার। বিদ্যুৎ দফতরের কাজে ৬২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় রেলের। চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত।(Train disaster for 62 Lacks Rupees)
কী ঘটেছে?
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন। গত বুধবার রাত থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং রুমের সামনে কাজ করছিলেন। রেলের তরফে অভিযোগ, রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের কাজের সময় ১৬টি সিগন্যালিং তারে মাইক্রোটানেলিং মেশিনের কোপ পড়ে এবং ছিঁড়ে যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তার।
এর ফলে গোটা সিগন্যালিং ব্যবস্থার (Signal Management) উপরে প্রভাব পড়ে। আর এই ঘটনার জেরে প্রায় ৬২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় পূর্ব রেলের (Train disaster for 62 Lacks Rupees).এহেন ঘটনা ঘটার ফলে মাঝপথেই থমকে যায় প্রচুর ট্রেন। এমনকি এর প্রভাব পড়ে ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, সোনারপুর শাখাতে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার জেরে ডামাডোলের মধ্যে পড়ে প্রায় ৩৭টি ট্রেন। গত বৃহস্পতিবার সারাদিন এই এক চিত্রই দেখা যায়। এর ফলে ক্ষোভ বেড়েছে রেলযাত্রীদের।
রেল কী বলছে?
রাজ্যের বিরুদ্ধে রেলের তরফে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং এই ঘটনার জন্য রাজ্যকে দায়ী করা হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিদ্যুৎ দফতর কোনো অনুমতি না নিয়েই রেলের জমিতে এই মাইক্রোটানেলিং পদ্ধতিতে নিজেদের দফতরের কাজ করতে যায়। আর আগাম নোটিস ছাড়া রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কাজের ফলেই বারুইপুরে ভেঙে পড়ে সিগন্যাল সিস্টেম। এর জেরে দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক ট্রেন। এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেরামতি হয়নি, কাজ চলছে।(Train disaster for 62 Lacks Rupees)
আরও পড়ুন: Oppo Reno 14 আজ লঞ্চ! নজরকাড়া ডিজাইন ও দারুন ফিচারে বাজারে নতুন হিরো
এর জেরে শুক্রবারের ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা শুক্রবারও দেরিতে ট্রেন চলাচল করতে পারে। ইতিমধ্যে, রেলের তরফে রাজ্যের কাছে ক্ষতির অঙ্কটাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহের ডিপিও একলব্য চক্রবর্তী বলছেন, “রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতর আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই এই কাজ করেছে। তাতেই সিগন্যাল লাইনে কোপ পড়েছে। আমাদের বড়সড় আর্থিক ক্ষতি যেমন হয়েছে তেমনই বহু ট্রেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরিতে চলেছে। বিদ্যুৎ দফতরের পরিকল্পনাহীন কাজের জন্যই এই অবস্থা।”
দুদিন আগে আরো এক দুর্ঘটনায় সারা ফেলে দিয়েছে ভারতে। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি সপ্তাহের সোমবারে ওড়িশার কটকে। যদিও গাড়িটি মালগাড়ি ট্রেন ছিল। ওড়িশার কটক দিয়ে পারদ্বীপ যাচ্ছিল। হঠাৎ ট্রেন টি বেলাইন হয়ে রাত ৮ টা ৪৩ নাগাদ উল্টে যায়।
এখনো পর্য্ন্ত খবর অনুযায়ী মালগাড়ির তিনটি কামরা উল্টে গেলেও কোন ব্যক্তির ক্ষতি হয়েছি। তবে যে তিনটি ট্রেনের কামরা উল্টে গিয়েছিল সেগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। দুর্ঘটনার খবর আসা মাত্রই যন্ত্রপাতি নিয়ে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল।
এই দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে রেল। ঠিক তারপরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোরে আরো একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলার বারাইহাটে। সেখানে একটি মালগাড়ি আরেকটি মালগাড়িতে মারে। তবে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জন এবং আঘাট প্রাপ্ত হয়েছেন ৪ জন।(Train disaster for 62 Lacks Rupees)
এই ঘটনা নিয়ে তাজ্জব পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। যে মালগাড়িটি দুর্ঘটনাটা ঘটায় সেটা ভোর ৪ টা থেকে ফারাক্কা থেকে লাল মাটিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে কয়লা বোঝায় করে ছুটে আসছিল। এই ঘটনায় দুটো মালগড়ির ইঞ্জিন দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির হয়েছে।
লাইন গুলো দূরে ছিটকে গিয়ে আগুন ধরে যায়। যা ভয়াবহতার রূপ নেয় অল্প হলেও। এই দুর্ঘটনায় দুটো মালগড়ির চালকই মারা যান। এর মধ্যে একটি দেহ উদ্ধার করা গেলেও আরেকটি এখনো উদ্ধার কার্য সম্ভব হয়নি। ইঞ্জিনে আগুন লাগার জন্য খুব দ্রুত সেখানে পৌঁছেছিল দমকল।(Train disaster for 62 Lacks Rupees)
এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক জন রেলকর্মী এবং সিআইএসএফ। দুর্ঘটনায় উপস্থিত হয়েছিলেন রেল পদস্থ আধিকারিকরা। গত রবিবার আরো একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল আবারো ওড়িশার কটক দিয়ে যাওয়ার সময় কামাখ্যা এক্সপ্রেস। সেই ঘটনায় ১ জন মারা যান এবং আহত হন প্রায় ৭ জন।