Kingdom: বহুল প্রতীক্ষিত তেলেগু সিনেমা কিংডম অবশেষে ৩১ শে জুলাই ২০২৫-এ মুক্তি পেল। পরিচালনায় গৌতম তিন্নানুরি, প্রধান চরিত্রে রয়েছেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও সত্যদেব। যদিও ছবিটি মুক্তির আগে খুব বেশি হাইপ তৈরি করতে পারেনি তবে অভিনয়ে ও দৃষ্টিপথের দিক থেকে একটি কিছুটা নজর কেড়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক ছবিটি কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে।
চিত্রনাট্যের পটভূমি ১৯৯০ দশকের। সূরি (বিজয় দেবেরাকোন্ডা) একজন কনস্টেবল যার ভাই শিবা সত্য দেব হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। খোঁজ নিতে গিয়ে সূরী জানতে পারে যে, শিবা বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় একটি চোরাচালান চক্রের সাথে যুক্ত এবং নিজেই একটি দলের নেতা ।সরকার সুরিকে এক গোপন মিশনে পাঠায় ভাইয়ের সন্ধানে ও চক্রটির রহস্য ভেদ করতে। চক্রে মিশে সূরী তার ভাই এর কাছে পৌঁছায়। এরপর গল্প মোর নাই শিবা কি সূরী কে চিনতে পারে? দুই ভাই একত্রে হবে নাকি মুখোমুখি দাঁড়াবে?
বিজয় দেবেরাকোন্ডা তার চরিত্রে যথেষ্ট সংযত ও আন্তরিক অভিনয় করেছেন। আবেক এবং কর্তব্যের টানা পড়েন তার চরিত্রে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি কৃত্রিমতা ছাড়াই চরিত্রে প্রাণ দিয়েছেন।
সত্য দেব তার ভূমিকাই মানানসই, বিশেষ করে বিজয় এর সঙ্গে কিছু দৃশ্যে খুবই প্রভাবশালী। যদিও চিত্রনাট্য তাকে আরো গভীরভাবে আবিষ্কার করার সুযোগ দেয়নি।
ভেঙ্কিটেশ মুরুগান চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করেছেন ।কিন্তু তার চরিত্রের পরিসর খুবই কম যা তাকে সম্পূর্ণভাবে উদ্ভাসিত হতে দেয়নি। সিনেমার কিছু অ্যাকশন দৃশ্য যেমন ব্রিজের ওপর লড়াই ও ক্লাইম্যাক্স কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করে।
দীর্ঘ দুই বছর ধরে নির্মাণে থাকা সত্ত্বেও ‘কিংডম’ এর কাহিনী বিশেষ আকর্ষণীয় নয়। এটি অনেকটা পূর্ব পরিচিত গল্প মনে হয় আবেগের গভীরতা নেই এবং চমকও কম। পরিচালক গৌতম তিন্নানুরি সাধারণত চরিত্র নির্ভর সিনেমা তৈরি করেন, কিন্তু এখানে তিনি স্টাইলির দিকে ঝুকেছেন। যার ফলে সংবেদনশীল দিকটি দুর্বল হয়ে পড়েছে ।
দুই ভাইয়ের সম্পর্কের আবেগ ছবির মূলে থাকার কথা কিন্তু তা যথাযথভাবে ফুটে ওঠেনি। আবেগের দৃশ্যগুলো ও মন ছুঁয়ে যায় না ,বরং খুব সহজেই পেরিয়ে যাই।
সহ চরিত্রগুলি ও বিশেষভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনা, যেন কেবলমাত্র চিত্রনাট্যের খাতা পূরণের জন্য রাখা হয়েছে।
চিত্রগ্রহণের দিক থেকে গিরিশ গঙ্গাধরন ও জোয়ান টি জন প্রশংসার দাবি রাখে । আ্যকশন দৃশ্যগুলিতে দৃষ্টিনন্দন করে তুলছেন তারা। অনিরুদ্ধ রাভিচন্দার এর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর মাঝারি মানে। কিন্তু নতুন কিছু শোনার সুযোগ্য নবীন নূলির এডিটিং তার সংক্ষিপ্ত হওয়া দরকার ছিল। বিশেষত দ্বিতীয় আর্ধের গতি কিছুটা মন্থর। প্রোডাকশনের মান ভালো সেট ডিজাইন ও লোকেশন বেশ নজরকাড়া।
সব মিলিয়ে কিংডম একটি একবার দেখার মতো অ্যাকশান ড্রামা অভিনয় ও দৃশ্যপথ ভালো হলেও গল্পের আবেগ ও গভীরতা যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি। যারা বিজয় দেবেরাকোন্ডার ভক্ত তারা সিনেমাটি উপভোগ করতে পারেন। তবে বড় কিছু প্রত্যাশা না করাই ভালো।