Nepal Gen Z Protest 2025: নেপাল বর্তমানে এক অত্যন্ত উত্তাল সময় রয়েছে একটি নতুন প্রজন্ম, সাধারণভাবে “Gen Z” যাদের বলা হচ্ছে তারা সোচ্চার হয়েছেন। তাদের অভিব্যক্তি শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা রাস্তায় নেমেছেন রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ও প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এই প্রতিবাদ মাল্টিপল কারণে গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিষিদ্ধতা, তার দলবাজি, নীতি-নিষেধ, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা এবং তরুণদের ভবিষ্যতের প্রতি অবিশ্বাস অন্যতম।
প্রতিবাদের সূচনা
সবচেয়ে প্রথম ট্রিগার হিসেবে ধরা হচ্ছে সরকারি সিদ্ধান্ত যেখানেই সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর প্রচারিত হয় ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন (facebook, whatsapp, instagram, youtube) ইত্যাদি বন্ধ করার ঘোষণা, যেসব প্লাটফর্ম যথাযথভাবে সরকারের সঙ্গে নিবন্ধন করেনি বলে অভিযোগ।
এই সিদ্ধান্ত Gen Z এর মধ্যে ক্ষোভ ঊর্ধ্বমুখী করে, কারণ এই প্রজন্ম ডিজিটাল যোগাযোগকে জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ হিসেবে দেখে। তাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, নিজেকে প্রকাশ করার, বন্ধুবান্ধব ও বিশ্বের সাথে সংযোগ রক্ষা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
মূল দাবিগুলো
প্রধান নিয়োগ্যো দাবিগুলো হলো:
- নিরাপদ ও মুক্ত ডিজিটাল অভিব্যক্তি-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুরো দমে খোলা হোক, সেন্সর সেই পনিয়ন্ত্রণের নামে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হবে না।
- দুর্নীতি ও রাজনৈতিক স্বার্থপরতা বন্ধ-ব্যাপক কিডস ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে তরুণরা দেখিয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের সন্তানদের বিলাসিতার জীবন ও সাধারন মানুষের সংগ্রামের পার্থক্য। এই ধরনের পার্থক্য ও রাজনৈতিক সুবিধা বাদ বন্ধ হোক।
- প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা-সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যারা আধিকারিক নির্দেশ দিয়েছেন তাদের হেনস্থা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হোক। সংসদ ও দ্রুত ভাবে পরিবর্তন বা নতুন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব বিবেচনা করুক।
বিক্ষোভের প্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া
এই আন্দোলন মূলত তরুণদের উদ্যোগে শুরু হলেও দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী স্কুল কলেজের ইউনিফর্মে সাধারণ নাগরিকরা জাতীয় পতাকা ব্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন যেমন “Stop the ban on social media, stop corruption not social media”তবে বিক্ষোভ গুলি শান্তিপূর্ণ তবেই সব সময় ছিল না পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে ট্রিগার গ্যাস, ওয়াটার ক্যানন, মাঝে মাঝে জীবিত গুলি ও ছোড়তে দেখা গেছে। সরকারি পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে ও অন্যান্য শহরে।
পরবর্তীতে সরকার বাধ্য হয় নিষিদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি নিষিদ্ধতা তুলে নিতে।
সচেতনতার পুনরাবৃত্তি ও ভবিষ্যৎ
এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে যে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে শুধুমাত্র সরকারের নীতি আচরণ পরিবর্তনই নয়। সমাজসাম্য সুযোগের ন্যায় বিচার ও স্বচ্ছতার প্রতি বড় ভরসার জন্ম নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম অনলাইন প্লাটফর্ম তরুণদের শক্তি হিসেবে কাজ করছে, যা তাদেরকে জগতে বিপরীতে রেখে দিচ্ছেনা বরং তাদের আওয়াজকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অনুগত, ডানপন্থী কর্মী, চার্লি কির্ককে গুলি করে হত্যা! জানুন সম্পূর্ণ
তবে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি প্রতিহিংসা মূলক নিরাপত্তা বাহিনী, সরকারি দমনননীতি, আন্দোলনের মাঝে বাড়তে পারে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা। আন্দোলন শুধু অভিযোগ ও প্রতিবাদে আটকে থাকলে তা সফল হবে না, সুসংগঠিত রণীতি, আদর্শ মূলক নেতৃত্ব এবং জনমতের সমর্থন অপরিহার্য।
নেপালের “Gen Z” বিক্ষোভ শুধু একটি সময়ে বা একটি ঘটনার ফল নয়, এটি একটি প্রজন্মের স্বপ্ন ও আশা, যা বলছে “আমরা অবিচার মেনে নেব না”। তারা চাই একটি এমন দেশ যেখানে প্রতিটি মানুষের কন্ঠ শোনা যাবে, যেখানে ক্ষমতা ও সুযোগ নেয় বোধের ভিত্তিতে বিতরণ হবে। এই আন্দোলন কতটা দূর যাবে তার সময় বলবে তবে এর প্রভাব ইতি মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ও নেপালের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গভীর হয়ে উঠেছে।