NPS Pension New Rules October 2025: ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে দেশের পেনশন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, এবার এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম চালু হতে চলেছে। এই নয়া নিয়ম মূলত বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতদের জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ যারা সরকারি চাকরিতে নয় তাদের অবসর পরবর্তী আর্থিক সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কিভাবে চলছিল
এখন পর্যন্ত NPS এর একটি প্যান কাজ ব্যবহার করে শুধুমাত্র একটি স্কিমে বিনিয়োগ করার সুযোগ ছিল। ফলে একজন বিনিয়োগকারীকে নির্দিষ্ট স্কিম এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হতো। ঝুঁকি ও লক্ষ্য অনুযায়ী আলাদা পোর্টফোলিও তৈরি সুবিধা বিনিয়োগকারীরা পেতেন না। তবে নতুন নিয়ম চালু হলে একই একাউন্টের মাধ্যমে একাধিক স্কিমে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। এর ফলে অবসরকালীন পরিকল্পনা অনেক বেশি নমনীয় হবে।
নতুন কাঠামোর বিশেষ সুবিধা
নতুন ব্যবস্থা সাবস্ক্রাইবাররা তাদের ঝুঁকির মানসিকতা ও আর্থিক লক্ষ্য অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন পোর্টফোলিও গড়ে তুলতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ যারা তরুণ ও উচ্চ ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক, তারা ইটুইটিতে বেশি নিয়োগের সুযোগ পাবেন। কোন দিকে যারা ঝুঁকি বিমুখ, তারা মাঝারি ঝুঁকির স্কিম বেছে নিতে পারবেন।
প্রতিটি স্কিমে কমপক্ষে দুটি বিকল্প থাকবে-
- মাঝারি ঝুঁকি
- অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ
কর্পোরেট গিগ ও প্রফেশনাল কর্মীদের জন্য আলাদা সুযোগ
নতুন ফ্রেমওয়ার্কের কর্পোরেট কর্মী, গিগ ওয়ার্কার্স এবং স্বাধীন প্রফেশনালদের জন্য আলাদা আলাদা গ্রুপের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর ফলে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর কর্মজীবীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী স্কিম বেছে নিতে পারবেন। এটি বেসরকারি ক্ষেত্রেও অবসরকালীন সঞ্চয়ের পরিসরকে অনেকটাই বিস্তৃত করবে।
স্বচ্ছতা ও খরচ নিয়ন্ত্রণ
অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের স্বচ্ছ তথ্য দেওয়ার জন্য প্রতিবছর একটি কনসলিডেটেড পাঠানো হবে। সেখানে সব বিনিয়োগ, স্কিম, ঝুঁকি ও মুনাফার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। এর জন্য বার্ষিক চার্জ রাখা হয়েছে মাত্র ০.৩০ শতাংশ, যাও অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যমের তুলনায় অনেকটাই কম। পাশাপাশি নতুন সাবস্ক্রাইবার আনতে পেনশন ফন্ট গুলিকে ০.১০ শতাংশ ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে।
এক্সিট রুলসে বড় পরিবর্তন নয়
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নতুন প্রকল্পে এক্সিট রুলস বা বেরোনোর নিয়ম পূর্বের মতোই রাখা হয়েছে।। অর্থাৎ সাবস্ক্রাইবাররা যখন ইচ্ছা সম্পুর্নভাবে ভাবে সিস্টেম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন না। তবে নতুন কাঠামো অনুযায়ী 15 বছর পূর্ণ হলে সীমিত আকারে আংশিক এক্সিট বা সু্ইচিং এর সুযোগ থাকবে। এটি বিনিয়োগ কারীদের দীর্ঘ মেয়াদে পেনশন প্ল্যানে টিকে থাকতে উৎসাহিত করবে।
কেন এই পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ
নতুন এই মাল্টিপল স্কিম ফ্রেমওয়ার্ক সাবস্ক্রাইবারদের হাতে দিচ্ছে-
- বেশি অপশন
- বেশি নিয়ন্ত্রণ
- বেশি ব্যক্তি কেন্দ্রিকতা
অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী তার ব্যক্তিগত প্রয়োজন লক্ষ্য ও ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা অনুযায়ী বিনিয়োগ পরিকল্পনা সাজাতে পারবেন। এর ফলে পেনশন প্ল্যান এর ক্ষেত্রে নতুন ইনোভেশন ও প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। দীর্ঘমেয়াদি এটি দেশের আর্থিক বাজারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: SBI Platinum Jubilee Asha Scholarship 2025: কারা পাবেন, কীভাবে আবেদন করবেন
১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে চলা এই নতুন নিয়ম নিঃসন্দেহে NPS বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুযোগ নিয়ে আসছে। অবসর পরবর্তী জীবনকে নিরাপদ করার পাশাপাশি ঝুঁকি অনুযায়ী মুনাফা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বিনিয়োগকারীদের হাতে। ফলে এই পদক্ষেপ বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।