BHEL Q1 Result: রাস্তায় এতো সংস্থা ভারত হেবি ইলেক্ট্রনিক্যালস লিমিটেড(BHEL) এর প্রথম ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের বৃহস্পতিবার সংস্থার শেয়ার মূল্য তীব্রভাবে পতিত হয়। কোম্পানি জানিয়েছে, জুন ২০২৫ কোয়াটারে তাদের একত্রিত নীট ক্ষতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ₹৪৫৫.৫০ কোটি। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
বিএস ই তে BHEL share ৬.১৯ শতাংশ পড়ে ₹২২৪.৮০তে এসে দাঁড়ায়। অপরদিকে NSE তে শেয়ারটির দর ৬.৩০ শতাংশ কমে ₹২২৪.৭১ পৌছায়।
ক্ষতির মূল কারণ ব্যয়ের বৃদ্ধি
বুধবার একটি স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিং এ BHEL জানিয়েছে জুন ২০২৫, ৩ মাসিকে কোম্পানির একত্রিত নিট ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ₹৪৫৫.৫০ কোটি। আগের বছর একই সময় এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল₹২১১.৪০ কোটি। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।
এই আর্থিক ক্ষতি প্রধান কারণ হিসেবে সংস্থা উল্লেখ করছে ব্যয়ের বৃদ্ধি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন ত্রি মাসিকে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে₹৬,২৭৯.৭৮ কোটি ,যা আগের বছর ছিল ₹৫,৮৭৪
৯৮ কোটি। ব্যয়ের এই বৃদ্ধির ফলে, আয় সামান্য বাড়লেও লাভের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে এবং শেষপর্যন্ত সংস্থাকে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
সামান্য আয় বৃদ্ধি, লাভের ফলেই কম
BHEL এর মোট আয় অবশ্য অল্প পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের জুন ত্রৈম মাসিকে সংস্থার মোট আয় ছিল ₹৫,৬৫৮.০৭কোটি, 2024 সালের একই সময় ছিল ₹৫,৫৮১.৭৮কোটি। যদিও এই বৃদ্ধি আশা ব্যঞ্জনক, যথেষ্ট নয় ক্ষতি সামাল দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: ৪,০১১ কোটি টাকার IPO বরাদ্দের অবস্থা কীভাবে পরীক্ষা করবেন? জানুন বিস্তারিত
বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
শেয়ার বাজারে BHELএর এই পতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের সঞ্চার করেছে ।দীর্ঘ মেয়াদে সংস্থার আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সংস্থার আর্থিক ফলাফল দুর্বল হতে পারে।
সংস্থার ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
BHEL একটি বৃহৎ রাষ্ট্রয় অত সংস্থা যা কাজ বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি তৈরি এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পে অবকাঠামগত পরিসেবা প্রদান। বর্তমান আর্থিক দুর্বলতা সংস্থার প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলতে পারে বলি আশঙ্কা করা হচ্ছে ।সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক পুনঃনিবাস বা সহায়তা ছাড়া পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।
BHEL এর প্রথম ত্রৈমাসিক ফলাফল পষ্ট ভাবে দেখাচ্ছে যে, সংস্থাটি ব্যয়ের চাপে পড়ে ক্রমশ ক্ষতির দিকে এগোচ্ছে। আয় সমান্য বাড়লেও তাতে বড় ধরনের আর্থিক উপকার হয়নি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সংখ্যাকে ব্যয় হ্রাস এবং উৎপাদন লক্ষ্যতায় বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তবেই ভবিষ্যতেই তো সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে।