আজকের রাশিফল আবহাওয়া Human Interest Story খুঁটিনাটি বিনোদন প্রকল্প Tech চাকরি ব্যবসা বাণিজ্য লাইফস্টাইল শেয়ার মার্কেট অন্যান্য

Cholesterol Test Starting Age: কোলেস্টেরল পরীক্ষা কখন শুরু করবেন? ২০ বছর থেকেই জরুরি সতর্কতা

Published on: August 10, 2025
Cholesterol Test Starting Age

Cholesterol Test Starting Age: বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদরোগের প্রবণতা আগেকার দিনে ৫০ বছর পর এই ধরনের রোগ দেখা দিত কিন্তু এখন ২০ থেকে ২৫ বয়সীদের মাঝেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা এখন জোর দিচ্ছেন কোলেস্টেরল পরীক্ষা কত তাড়াতাড়ি করা উচিত তা নিয়ে সচেতনতার ওপর।

বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর নবীন ভামরি টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবং একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, প্রত্যেক মানুষেরই কুড়ি বছর বয়সে প্রথমবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো উচিত(Cholesterol Test Starting Age)। এই পরীক্ষাকে বলা হয় ফাস্টিং লিপিড প্রোফাইল যার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নির্ণয় করে।

কেন কুড়ি বছরেই শুরু করা উচিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা

কারণ কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে শরীরের জমতে শুরু করে এবং কোন লক্ষণ ছাড়াই রক্তনালিতে বাধা সৃষ্টি করে। বছর ধরে জমতে জমতে এক সময় হঠাৎ রমণীর দেওয়াল ছিড়ে গিয়ে হঠাৎ হতে পারে এ হার্ট অ্যাটাক। অথচ কোলেস্টেরলের কোন স্পষ্ট উপসর্গ প্রাথমিকভাবে দেখা যায় না। তাই সময় থাকতে না জানলে বিপদ।

বিশেষ করে যাদের পরিবারের হৃদরোগ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ স্থুলতা, এর ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল পরীক্ষার সময়সীমা আরো কমিয়ে আনা উচিত।

কতদিন অন্তর পরীক্ষা করা উচিত

যদি প্রথম পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক আসে তাহলে পরবর্তী ৪ থেকে ৬ বছর পরে পুনরায় পরীক্ষা করা যেতে পারে(Cholesterol Test Starting Age)।তবে যদি কোলেস্টেরল বেড়ে যায় কিংবা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থাকে তাহলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

আরও পড়ুন: মার্কিন অর্থনীতিবিদের সতর্কবার্তা, ‘নিজেকে ধ্বংস করছেন ট্রাম্প’

উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ গুলি কি কি?

যখন রক্তে কলেস্ট্রল এর মাত্রা খুব বেশি হয় তখন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন-

  • বুকে চাপ বা ব্যথা
  • চোখের তার পাশে জ্যান্থোমা নামের চর্বি জমা
  • হাঁটার সময় কষ্ট বা শ্বাসকষ্ট
  • হাত বা পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ভাব বা অসাড়তা

কোলেস্টেরল কম রাখতে কি করবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় ও কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

    খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুন-তৈলাক্ত খাবার, ফাস্টফুড, পনির ,মাখন ,নুডুলস, মোমো এড়িয়ে চলুন। লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শাকসবজি ফলমূল ও শস্য খান।

    নিয়মিত ব্যায়াম করুন- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা মাঝারি শারীরিক পরিশ্রম করুন। সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকুন।

    মানসিক চাপ কমান- যোগব্যায়াম ধ্যান ও মেডিটেশন অভ্যাস করুন। মানসিক চাপ কমানোর হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস করে।

    নেশা থেকে দূরে থাকুন- ধূমপান ও মদ্যপান একেবারেই এড়িয়ে চলুন।

    ঘুম ঠিক রাখুন- নিয়মিত সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

    নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন- প্রতিবছর রুটিন হেলথ চেকআপ করানো উচিত। যদি নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হয় তাও।

    heart attack হঠাৎ করে আসে না এটি অনেক দিনের গোপন প্রস্তুতির ফল(Cholesterol Test Starting Age)। তাই সময় থাকতে কোলেস্ট্রল পরীক্ষা কোন স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গড়ে তুলুন এবং নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য তৈরি করুন সুরক্ষার ঢাল। কুড়ি বছর বয়স থেকে সচেতন হওয়া জীবন বাঁচাতে পারে।

    Mahasina Nasrin

    আমি মাহাসিনা নাসরিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছি। বর্তমানে আমি আচার্য ইনস্টিটিউট অফ গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছি। বর্তমানে আমি ২৪ ঘন্টা আরামবাগে সংবাদ প্রতিবেদক, ভয়েস ওভার শিল্পী এবং কপি লেখক হিসেবে কাজ করছি। আমি পূর্বে টেক মিডিয়া, টেক ওয়াইফাই, সোকালের বার্তা ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লেখক হিসেবে যুক্ত ছিলাম।

    Join WhatsApp

    Join Now

    Join Telegram

    Join Now

    Leave a Comment