Digital India a People’s Reflection: ২০১৫ সালের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি সূচনা হয়েছিল এক মহৎ লক্ষ্য নিয়ে -দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে প্রযুক্তির সুবিধা তুলে দেওয়া ।সেই সময় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন এত বিশাল ও বৈচিত্রপূর্ণ দেশে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলার কি আদৌ সম্ভব? কিন্তু সময় প্রমাণ করে দিয়েছে এই উদ্যোগ ছিল সময়োচিত ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। (Digital India a People’s Reflection)
ডিজিটাল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিংয়ে নতুন দিগন্ত:
দশ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল ভারতের এই অসাধারণ সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লিঙ্কডইন প্রকাশিত এক বিশেষ প্রবন্ধে। তিনি লিখেছেন “যেখানে একসময় বিশ্বাস করা হতো ভারতীয়রা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকবে, সেখানে আমরা আস্থা রেখেছি ভারতীয় নাগরিকদের দক্ষতার ওপর”। তিনি আরোও বলেন,” আমরা প্রযুক্তির সীমিত গোষ্ঠীর সম্পদ না বানিয়ে গণমানুষের হাতের নাগালে নিয়ে গিয়েছি”।(Digital India a People’s Reflection)
২০১৪ সালে যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন ছিল মাত্র ২৫ কোটির মতো। সেখানে আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটিতে। দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও পৌঁছে গিয়েছে ইন্টারনেট। ৪২ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের এর মাধ্যমে। আজ শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ডিজিটাল শিক্ষা, ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিসেবা ও ডিজিটাল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ভারতের অগ্রগতি:
প্রধানমন্ত্রী মোদি তার লেখায় ইউপিআই সহ বিভিন্ন অনলাইন লেনদেনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ভারতের ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার আজ বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠেছে। ইউপিআই এর মাধ্যমে আজ কোটি কোটি ভারতীয় সহজেই অর্থ লেনদেন করতে পারছে। সরকারি পরিষেবা পৌঁছেছে সরাসরি নাগরিকদের একাউন্টে উল্লেখ করে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৪ কোটি টাকা সরাসরি প্রাপকদের একাউন্টে পাঠানো হয়েছে যার ফলে মিডিল ম্যান ও দুর্নীতির জায়গা কমেছে। এই প্রক্রিয়া ৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে।(Digital India a People’s Reflection)
ডিজিটাল অর্থনীতির জোয়ারে আজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং স্টার্টআপ সংস্কৃতি ও নতুন দিশা পেয়েছে। মোদির কথায় ভারত এখন বিশ্বের শীর্ষ তিনটি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের একটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অগ্রণী প্রযুক্তিতে ভারত নিজের পরিচিতি তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক স্তরে ।ডিজিটাল ইন্ডিয়া আজ আর শুধুমাত্র সরকারি কর্মসূচি নয়, এটি একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এর ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে আত্মনির্ভর ভারত।(Digital India a People’s Reflection)
আগামী দশকের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“ভারত আজ শুধু প্রযুক্তি গ্রহণ করছে না, প্রযুক্তি নির্মাণেও পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছে ।ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ায় আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য”।
এ আত্মবিশ্বাসী বক্তব্যর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন যে ডিজিটাল ভারতের আগামী যাত্রা হবে আরো উচ্চাভিলাষী ,এবং ভারত ডিজিটাল ক্ষেত্রে গ্রাহক থেকে নেতা হয়ে উঠেছে -এই বদলে সাক্ষী রইল গোটা দেশ।