E-Passport Explained: ডিজিটাল বিপ্লব এখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পৌছে গেছে। ব্যাংকিং থেকে কেনাকাটা সবকিছুই অনলাইনে করা সম্ভব এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে e পাসপোর্ট পরিষেবা। প্রযুক্তির এই উন্নতির ফলে নাগরিকরা ঘরে বসে কয়েকটি সহজ ধাপে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।এতে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনই আবেদন প্রক্রিয়া স্বচ্ছতাও বৃদ্ধি পাবে।
হয়তো অনেকেই জানেন না, কিভাবে E-passport apply করতে হয়। আবার প্রয়োজনীয় নথি, ফি বা আবেদন জমা দেওয়ার ধাপ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তাই এই প্রতিবেদনে এক নজরে দেখুন নেওয়া যাক এই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি তথ্য।
E-Passport এর গুরুত্ব
প্রচলিত পাসপোর্টে তুলনায় ই পাসপোর্ট অনেকটাই বেশি আধুনিক ও নিরাপদ। এর ভেতরে একটি ইলেকট্রনিক্স চিপ বসানো থাকে, যেখানে আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ফলে জালিয়াতির ঝুঁকি কমে যায় এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার এর কারনে সীমান্ত চেকিং আরো সহজ এবং দ্রুত হয়।
আবেদনের আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
E-Passport এর আবেদন করার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা। সাধারণত যা যা লাগে-
- পরিচয় পত্র (আধার কার্ড ভোটার আইডি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি)
- ঠিকানার প্রমাণপত্র (বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বা জলের বিল ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- পুরনো পাসপোর্ট এর কপি যদি থেকে থাকে
ফি ও খরচ সম্পর্কে ধারণা
E-Passport এর আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হয়। ফি নির্ভর করে এ আবেদনকারীর বয়স পাসপোর্ট এর ধরন এবং কত দ্রুত পাসপোর্ট পেতে চান তার ওপর। তাই আগে থেকেই সঠিক ফি সম্পর্কে জেনে নিলে আর্থিক পরিকল্পনা করা সহজ হবে এবং শেষ মুহূর্তে কোন জটিলতা তৈরি হবে না।
সঠিক ধরন নির্বাচন করুন
সব আবেদনকারীর চাহিদা একই রকম নয়। কারও ভ্রমণের প্রয়োজন কম, আবার কেউ ঘন ঘন বিদেশে যান। তাই সেই অনুযায়ী পাসপোর্ট এর ধরন বেছে নিতে হয় সাধারণ ভ্রমণের জন্য নিয়মিত ই পাসপোর্ট যথেষ্ট হলেও ব্যবসায়িক বা বারবার ভ্রমণকারীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পাসপোর্ট বেশি কার্যকর। তাই আবেদন করার আগে নিজের চাহিদা বিবেচনা করা জরুরী।
অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ও জমা দেওয়ার ধাপ
আবেদন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আ্যপয়েন্টমেন্ট বুকিং।
- পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য নিজের সুবিধা জনক সময় বেছে নিন
- আগে থেকে বুক করলে আপনার পছন্দের তারিখ ও সময় পাওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে
- এতে দৈনন্দিন কাদের সূচির সঙ্গে আপয়েন্টমেন্ট এর সমঞ্জস্য রাখা সহজ হয়।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর দিনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙ্গুলের ছাপ, ছবি) ইত্যাদি সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ৯৭৬ পদের নিয়োগ, জানান যোগ্যতা ও আবেদন প্রক্রিয়া
ট্র্যাকিং ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ
আবেদন জমা দেওয়ার পরই কাজ শেষ হয়ে যায় না আবেদনকারীদের নিয়মিত অনলাইনে E-passport Tracking Tool ব্যবহার করে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা উচিত এতে বোঝা যায়,কোন অতিরিক্ত নথি বা পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে কিনা। নিয়মিত নজরদারি করলে অযথা বিলম্ব এড়ানো যায় এবং দ্রুত নতুন পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।
ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এই পাসপোর্ট এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব। কয়েকটি সহজ ধাপে ঘরে বসেই আপনি আবেদন করতে পারেন নিজে নতুন পাসপোর্ট এর জন্য। সঠিক নথি প্রস্তুত রাখা, নির্ধারিত ফি জমা দেওয়া, অ্যাপয়েন্টমেন্টে উপস্থিত হওয়া এবং নিয়মিত আবেদন ট্র্যাক করা এই কয়েকটি পদক্ষেপ মারলেই আপনার-ই পাসপোর্ট পাওয়া হবে আরো সহজ ও ঝামেলাহীন।
ডিজিটাল দুনিয়ায় E-passport Apply করে নাগরিকরা যেমন সময় সাশ্রয় করতে পারবেন, তেমনি পাবেন একটি নতুন যুগের নিরাপদ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।