Russia Japan Earthquake Tsunami Latest Update: রাশিয়ায় কামচাটকা উপদ্বীপে উপকূলে ৮.৮ মাত্রার এক প্রবল ভূমিকম্পের পর বুধবার সুনামি আঘাত হানের রাশিয়া ও জাপানের উপকূলে। ভূমিকম্পটি থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। এটি শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা।
ভূমিকম্পের পর পরই রাশিয়া ও জাপানে(Russia Japan Earthquake Tsunami) ব্যাপক সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ জাপানের উত্তর ও পূর্ব উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে। এমনকি দক্ষিনে ওয়াসাকার নিকটবর্তী ওয়াকায়মা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বিপর্যয় জাপানের উপকূলে চারটি বিশাল তিমি ভেসে আসার খবর জানিয়েছে বিএনও নিউজ ।পাশাপাশি বিভিন্ন বন্দর উপকূলবর্তী স্থাপনার ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সাখালিন অঞ্চলের নর্থ কুরিল দ্বীপ পুঞ্জের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে আজকের ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর কুরিল জেলাকে জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয় নাকি ফ্যাশন? লাবুবু পুতুলকে ঘিরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক ও রহস্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সুনামির প্রথম ধাক্কার ভয়ংকর চিত্র। রাশিয়ার উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বহু এলাকার প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব রাশিয়ার গভর্নর জনগণকে উপকূল থেকে দূরে থাকার নির্দেশ জানিয়েছেন।
রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা বিভাগ সেভেরোকুরিলস্ক শহরের মানুষকে দ্রুত বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে। যেখানে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
জাপান হাওয়াই ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরো কয়েকটি অঞ্চলের জন্য সুনামি সর্তকতা জারি করা হয়েছে। জাপান জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত একটার দিকে সুনামি বড় ঢেউ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এই সুনামি ও ভূমিকম্পের পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং উদ্ধার কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। রাশিয়া ও জাপানের (Russia Japan Earthquake Tsunami)উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সেনাবাহিনী ও জরুরি বিভাগ মোতায়ন করা হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো না হলেও, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে দুটি দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা জীববৈচিত্র এবং অবকাঠামো গত ক্ষয়ক্ষতি গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির ঘটনা ভবিষ্যতে আরো নজরদারি ও প্রস্তুতির দাবি রাখে।