Delhi Restaurant Refused Entry: দিল্লির পিটাম্পুরা মেট্রো স্টেশনের কাছে অবস্থিত নতুন রেস্টুরেন্ট ‘টুবাটা’ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। এক দম্পতির অভিযোগ তারা ভারতীয় পোশাক পড়ে আশায় রেস্টুরেন্টে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ৩ আগস্ট ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ভিডিও আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ভাইরাল ভিডিও তে দেখা যায় মহিলাটি চুড়িদার কুর্তা সেট পড়েছিলেন। আর তার সঙ্গী পড়েছিলেন একটি টিশার্ট ও প্যান্ট। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রবেশদ্বারেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। দম্পতির দাবি,”এটাই ছিল আমাদের পোশাক কিন্তু আমাদের থামানো হয়েছে। অথচ আরো খোলামেলা পোশাকে আসা অন্যদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজার অপমান করছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে হেয় করছেন।
“ভিডিও রেকর্ড কারী একজনকে শোনা যায় বলতে, “ভারতীয় পোশাক পড়া কি আমাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে? এদের পোশাক কি অনুচিত? যদি কোন রেস্টুরেন্ট ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হয়, তবে তা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এই ভিডিও এক্স (পূর্বে টুইটার) ব্যবহারকারী রোজি পোস্ট করে লিখেছেন,”দেখুন দিল্লির টুবাটা রেস্টুরেন্টে কি ঘটেছে! এক দম্পতি কে শুধুমাত্র ভারতীয় পোশাকের কারণে ঢুকতে দেওয়া হয়নি”।
তবে রেস্টুরেন্টের মালিক নীরজগরওয়াল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন,” আমরা ভারতীয় বা ওয়েস্টার্ন সব ধরনের পোশাকের মানুষকে স্বাগত জানাই। এই দিন রেস্টুরেন্টে প্রচুর ভিড় ছিল অপেক্ষা করতে হচ্ছিল এক দেড় ঘন্টা পর্যন্ত। ৩ আগস্ট ছিল রবিবার ও ফ্রেন্ডশিপ ডে তাই ভিড় আরো বেশি ছিল। হয়তো অপেক্ষা কারণে তারা বিরক্ত হয়েছেন ।আমাদের এখানে কোন ড্রেস কোড নেই কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরো যোগ করেন,” আমাদের শুধু একটি নিয়ম আগে থেকে রিজার্ভেশন করে এলে ভিড় এড়ানো যায়। রেস্টুরেন্টে গত 15 দিন ধরে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতায় চলছে আমরা ভালো খাবার, মানসম্মত পরিষেবা ও অভিজ্ঞ কর্মীদের দিয়ে এসে সেবা করছি।”
ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মতবিভাজন তৈরি হয়েছে। একদল নীতি জিনরা মনে করছেন ব্যক্তিগত রেস্টুরেন্টের অধিকার রয়েছে প্রবেশ নীতি নির্ধারণে সংস্কৃতির প্রতি অসম্মান হিসেবে দেখছে।
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন ,”প্রতিটি ছোট ব্যাপারকে বড় ইস্যু বানানো উচিত নয়। এটা প্রাইভেট রেস্টুরেন্ট তাদের নিজের নিয়ম করার অধিকার আছে।”
আরেকজন মন্তব্য করেছেন,”বিদেশে হলে আমরা একে বর্ণবিদ্বেষ বলতাম, এখানে বলি ড্রেস কোড। আত্ম ঘৃণা সবচেয়ে কুৎসিত ফ্যাশন।”
তবে বিরোধী মত রয়েছে,” আমরা নিজের দেশেই যেন পরবাসী”কিছু মানুষ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, “যেমন আমি বেঙ্গালুরু এক পাবে ঢুকতে পারিনি, কারণ ফর্মাল পোশাক ছিল না আগে থেকেই ড্রেস কোড জেনে নেওয়া ভালো।
এদিকে দিল্লির মন্ত্রী কপিল মিশ্র জানান মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এই ভিডিও দেখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরকর্তা রেস্টুরেন্টের মালিকের সঙ্গে কথা বলার পর মালিক নিশ্চিত করেছেন যে ভবিষ্যতে ভারতীয় পোশাক নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
এই ঘটনাই আবার ও সামনে এলো বিতর্ক আধুনিক নগর জীবনে ড্রেস কোড কি শুধুই সৌন্দর্য ও নীতির প্রশ্ন, নাকি তাই সংস্কৃতি বৈষম্যের রূপ নিচ্ছে? নেটিজেন তর্কে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।