Dollar Drops Powell September Rate Cut: মার্কিন ডলার শুক্রবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে বড় ধাক্কা খেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আগামী সেপ্টেম্বরে ফেড সুদের হার কমাতে পারে।তবে তিনি এখনই সুদ কমানোর বিষয়ে নিশ্চিত কিছু ঘোষণা করেননি। এই বক্তব্যে জেরে ডলারের দামে পতন ঘটেছে এবং অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে যা দুর্বল অবস্থায় পৌঁছেছে।
পাওয়েল ওয়াইয়োমিং এর জ্যাকসন হলে অনুষ্ঠিত ফেডের বার্ষিক সম্মেলন আন্তর্জাতিক অর্থবিদ এবং নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি জানান মার্কিন শ্রম বাজারে আপাত দৃষ্টিতে ভারসাম্য থাকলেও এটি একটি “অস্বাভাবিক ভারসাম্য” যা শ্রমিক সরবরাহ এবং চাহিদা উভয় উল্লেখযোগ্য ধীর গতির ফল।
শ্রম বাজারে ঝুঁকি ও ফেডের অবস্থান
Powell বলেন,”এই অস্বাভাবিক পরিচিতি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নিম্নমুখী ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। আর যদি সেই ঝুঁকি কার্যকর হয় তবে তার দ্রুতই শ্রম বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে”।
তিনি উল্লেখ করেন, ফেড সুদের হার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে, তবে অর্থনীতির গতি যদি দুর্বল হয় এবং চাকরির বাজার হঠাৎ চাপে পড়ে, তবে দ্রুত সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এমন পরিস্থিতি ফেডের মুদ্রা নীতির প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে সেপ্টেম্বরে ফেড যদি সত্যিই সুদ কমায় তবে ডলার আরো চাপের মুখে পড়তে পারে এবং সোনা সহ অন্যান্য নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়তে পারে।
ডলারের পতন ইউরো ও ইয়েনের এর শক্তি বৃদ্ধি
- ডলার ইনডেক্স এ মার্কিন ডলারকে ইউরো ই এন সহ প্রধান মুদ্রার বিপরীতে পরিমাপ করে। তা ০.৪৩% কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.১৮ তে। পাওয়েলের বক্তব্যের আগে এটি প্রায় ৯৮.৭ স্তরে ছিল।
- ইউরো ০.৫১% বেড়ে পৌঁছেছে ১.১৬৬৪ ডলারে।
- জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলার ০.৫১% দুর্বল হয়ে নেমেছে ১৪৭.৬১ স্তরে।
এই পরিবর্তন স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাজার এখন ফেডের সম্ভাব্য নীতি পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। সুদের হার কমানো হলে সাধারণত ডলারের চাহিদা কমে যায়, কারণ এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের আয় কমে যায়। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অন্য মুদ্রা বা সম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
বিশ্লেষকদের মতামত
ওয়াল স্ট্রিটের বিভিন্ন আর্থিক বিশ্লেষক মনে করছেন পাওয়াল বক্তব্য ইঙ্গিতবাহী হলেও তিনি সুদ কমানোর বিষয়ে এখনই নিশ্চয়তা দেন নি। এই কারণে বাজারে কিছুটা সতর্কতা থাকলেও বিনিয়োগকারীরা সেপ্টেম্বরে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এক অর্থনীতিবিদ বলেন,” ফ্রেড যদি সেপ্টেম্বরে সুদ কমায় তবে এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। তবে সিদ্ধান্তটি অনেকাংশ নির্ভর করবে আগামী কয়েক সপ্তাহে আশা কর্মসংস্থান ও মুদ্রাস্ফীতির ডেট আর উপর”।
আরও পড়ুন: ৫০% শুল্কে থমকালো ভারতের $3.6 বিলিয়ন Boeing P-8I জেট চুক্তি
হেডের মুদ্রানীতি সর্বদাই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। পাওয়েলের বক্তব্যে স্পষ্ট, মার্কিন অর্থনীতি আপাতদৃষ্টিতে স্থিতিশীল থাকলেও ভেতরে ভেতরে চাপ বাড়ছে। তাই সেপ্টেম্বরে ফেড কি সিদ্ধান্ত নেবে, তা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয় গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীর মহলেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ডলারের সাম্প্রতিক পতন এবং ইউরো ও ইয়েনের শক্তি বৃদ্ধি দেখাচ্ছে যে বাজার আগেই সম্ভাব্য পরিবর্তনকে আজ করতে শুরু করেছে। এখন সবার চোখ সেপ্টেম্বরে ফেডের সিদ্ধান্তে।