Trump Extra Tariff India: রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র ও জ্বালানি বাণিজ্যের কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বিরতি হলে এই অতিরিক্ত শুল্ক তুলে দেয়া হবে কিনা।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন,” ভবিষ্যতের সেটা নির্ধারণ করব। তবে এখনই তারা ৫০% শুল্ক দিচ্ছে উল্লেখ্য এর আগে ২৫% ভারতীয় পণ্যের উপর ‘রেসিপ্রোকাল’ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। নতুন শুল্ক যোগ্য হওয়ায় মোট ৫০% শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে আপেল সিইও টিম কুকের এর সঙ্গে এক আনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় তিনি জানান, কম্পিউটার চিপ ও সেমিকন্ডাক্টর এর ওপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা হবে। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, অ্যাপেল আগামী দিনে আমেরিকায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
আরো জানান ইউরোপীয় মিত্রদের তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি কির সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার ইতিমধ্যেই বুধবার ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফ পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠক গুলিকে “গঠনমূলক” বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন ,”ভারতের ওপর বাড়তি শুল্কের সঙ্গে এই আলোচনা আদৌ সম্পর্কিত কিনা, আমি জানিনা। কিন্তু আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে।”
আরও পড়ুন: মার্কিন অর্থনীতিবিদের সতর্কবার্তা, ‘নিজেকে ধ্বংস করছেন ট্রাম্প’
তিনি আরো বলেন, “আমরা ভারতের ওপর তেলের জন্য ৫০% শুল্ক আরোপ করেছি। ভারত রাশিয়ান তেল কেনার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। চিনের ঠিক পরে রয়েছে তারা। তাই এই সিদ্ধান্ত হয়তো প্রভাব ফেলেছে হয়তো ফেলেনি”।
টিনের নাম সরাসরি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন ভারতের পর অন্য দেশগুলির ওপর এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। “আপনারা অনেক কিছু দেখতে চলেছেন প্রচুর secondary নিষেধাজ্ঞা আসবে”, বলেন তিনি।
সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল কেন শুধু ভারতকেই এইভাবে singled out করা হচ্ছে। উত্তরের ট্রাম্প বলেন,” এটা মাত্র ৮ ঘন্টা হয়েছে দেখা যাক এর পর কি হয়।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন ট্রাম্পের এই অবস্থান ভবিষ্যতে ভারত মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি হলে ভারতের অর্থনৈতিক কিছুটা চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক কূটনীতির পরিসরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্ভাব্য যুদ্ধ বিরোধী দের এ বিশ্বজুড়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। যার মধ্যে ভারতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয় ট্রাম্প প্রশাসন আগামী দিনে এই শুল্কনীতি থেকে সরে আসে কিনা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়।