Purulia Howrah MEMU Train Started: জঙ্গলমহলের নতুন আশার আলো :চালু হলো পুরুলিয়া হাওড়া মেমু ট্রেন, হুগলি, বাঁকুড়া, বর্ধমান হয়ে কলকাতা সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে খুশির হাওয়া জঙ্গলমহলে।
পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু ট্রেন চালু:
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চালু হলো পুরুলিয়া হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বহুকাঙ্খিত এই ট্রেনটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভার্চুয়াল মাধ্যমে। জঙ্গলমহলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই ট্রেন চালু হওয়ার খুশির জোয়ার বইছে গোটা পুরুলিয়া সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে।
নতুন এই মেমু ট্রেনটি প্রতিদিন পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ভোর চারটি ছাড়বে এবং সকাল ১১:৪০ এ হাওড়া পৌঁছবে। অপরদিকে হাওড়া থেকে রোজ বিকেল ৪:১৫ মিনিটে ছেড়ে পুরুলিয়াই পৌঁছবে। রাত ১১:৫৫ ।পুরো যাত্রা পথে ট্রেনটি মোট ৫০টি স্টেশনে থামবে এই ট্রেনের যাত্রার খরচ মাত্র ৬০ টাকা ,যা অত্যন্ত সাশ্রয়ী ও সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে সহজলভ্য। (Purulia Howrah MEMU Train Started)
নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন:
এই রুটেতে ট্রেন চলাচল শুরুর মাধ্যমে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলার বহু মানুষ প্রথমবারের মতো হাওড়া তথা কলকাতার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগের সুবিধা পেলেন ।এতদিন পর্যন্ত এসব অঞ্চলের যাত্রীদের বড় বাধা ছিল সরাসরি ট্রেন পরিষেবা না থাকা। নতুন এ সংযোজন সেই অভাব পূরণ করল বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: সোনার দাম পতনে স্বস্তি, এখনই কি সেরা সময় সোনা কেনার না বিক্রির
যাত্রীরা এই নতুন পরিষেবা কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই ট্রেন চালু হওয়ার ফলে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ যেমন সহজ হল তেমন অনেকটা সময় ও অর্থ সাশ্রয়ও হবে তবে তারা ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এই রুটে এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর দাবি উঠেছে।
এক্সপ্রেসের বিকল্প মেমু ট্রেন:
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জানান, জঙ্গলমহলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রেল মন্ত্রকের কাছে তুলে ধরেছিলেন তিনি সেই আবেদনের ইতিবাচক সাড়া দিয়ে এই মেমু ট্রেন চালু করা হয়েছে সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রেল মন্ত্রকে ধন্যবাদ জানান এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।
এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়ায় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার প্রান্তিক এলাকা গুলির বহু মানুষ উপকৃত হবে। এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের ভাড়া অনেকটাই কম ফলে যাত্রীদের মধ্যে সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তিনি আরো জানান ভবিষ্যতে যদি এই রুটে যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হয় তাহলে এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেয়া হবে।
জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে এই ট্রেন যেন এক নতুন রেল যুগের সূচনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হোক ঘটার পাশাপাশি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সবাই একবাক্যে বলেছেন ,এই নতুন সংযোগ জঙ্গলমহলের জীবনযাত্রায় নতুন দিগন্ত খুলে দিল।