Kutli Samajpur: কোলাহল ও ব্যস্ত নগর জীবন থেকে একটু দূরত্বে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলার কুটলি সমোজপুর ও তার আশেপাশের সবুজ গ্রামীণ পরিবেশ। একদিনের ভ্রমণের জন্য এটি একটি আদর্শ গন্তব্য, যেখানে হয়তো আর দেখা যাবে না কংক্রিট ও যানজট যেখানে রয়েছে প্রকৃতির মুখোমুখি অভিজ্ঞতা।
সবুজে বোনা পথ
কলকাতা থেকে তেমন দূরে নয়, এই গ্রামের এক প্রান্তে ঘেরা রয়েছে বড় বড় গাছ, প্রশস্ত রাস্তা আর দুরভাষ থেকে আসে পাখিদের ডাক, হালকা বাতাসের ছোঁয়া এইসব মিলিয়ে যেন একেবারে ভিন্ন অনুভূতি দেয়। সুনির্দিষ্ট সময়ের মাঝে এখানে পা রাখলে শহরের কোলাহল একপ্রকার মিলিয়ে যায়, বদলে আসে আরেক রূপের সময়ের গতি।
প্রকৃতি ও জীবিকার মেলবন্ধন
এলাকার অন্যতম আকর্ষণ হল বাগজোলা খাল এবং পাশেই মাছ চাষের বিশাল ভৈরবী জলাশয়। এখানে মাত্র একটু দাঁড়িয়ে দেখলে চোখ আটকে যাবে জলাশয় এর ধারে ভেসে চলা সাদা বক, শালিক, চিলের মতো পাখি চলাচলে।
এই পারিবারিক ও গ্রামীণ জীবিকার সঙ্গে প্রকৃতির শান্তি মিশে রয়েছে যা শহুরে জীবনের দ্রুতগতি থেকে বিচ্ছুরিত বলে মনে হয়।
একদিনের শান্তিপূর্ণ রূপ
বন্ধুবান্ধব পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে একটি ছোট্ট একদিনের ভ্রমণের পরিকল্পনায় কুটলি সমঝপুর হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এখানে নেই ভিড়, নেই আলো হুল্লোড়, শুধু নীরবতা প্রকৃতির স্পর্শ ও আরামের মুহূর্ত।

নদীর ধারে বসে গল্প করা ছবিতে তারপর স্মৃতি ধরে রাখা বা নিস্তব্ধে প্রকৃতিকে অনুভব করা প্রতিটি মুহূর্তই এনে দিতে পারে নতুন করে বেঁচে ওঠার অনুভূতি।
আরও পড়ুন: চুল বলছে আপনার গল্প! কোঁকড়ানো ঢেউ খেলানো না সোজা চুলেই লুকিয়ে আপনার ব্যক্তিত্বের রহস্য
ঘুরে আসার পরামর্শ
- সময় ভালোভাবে নিন: সকাল বা বিকেলের সবচেয়ে ভালো সময় হবে। সন্ধ্যার পর এলাকা কিছুটা নির্জন হয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা উল্লেখ করেছেন।
- পরিবহন পরিকল্পনা করে যান: শহর থেকে রওনা হয়ে ভালো রাস্তায় পৌঁছে যাত্রার ক্লান্তি কম অনুভব করবেন
- ক্যামেরা বা স্মার্টফোন সঙ্গে রাখ: বিশেষ করে খালের ধারে ও মাছ চাষের ভেড়ি জলাশয় ছবির সুযোগ ব্যাপক।
- কিছুটা সময় খুবই শান্তিতে কাটান শুধু হাঁটা বা বসে থাকা এই ভ্রমণের একটা অংশ।
একদিনের অর্থ না লাগিয়ে এই ধরনের ভ্রমণ হতে পারে বড় মানসিক রিফ্রেশমেন্ট। যদি আপনি শহরের তাড়াহুড়ো থেকে একটু মুক্তি পেতে চান, তাহলে এই পর্যটন গন্তব্যটিকে ভাবতে পারেন।









