Gold price drop in India: দেশের সোনা ও রুপার বাজারের স্বস্তির বাতাস বইতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার পেছনে নয় এবার সোনার আমদানিতে বেস ইমপোর্ট প্রাইস কমিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর এই পদক্ষেপ কলঙ্কিত দাম বাড়ানোর প্রবণতা কে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং অন্তর রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য প্রসারিত করতে নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই বেশ প্রাইস হাস পেলে এ আমদানির পর ও শুল্ক বোঝা কমবে ফলে বাজারে কোন সোনার খুচরো দামও ধীরে ধীরে কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এক ধাক্কায় কয়েক হাজার টাকার কমানো সম্ভব বলেও আশা করা হচ্ছে।
বেস্ট ইমপোর্ট প্রাইজ কি এবং কেন একটি গুরুত্বপূর্ণ?
“বেস ইম্পোর্ট প্রাইস” হল আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টম শুল্ক বা আমদানি শুল্ক নির্ধারণের জন্য যে মূল্যের ভিত্তি ধরা হয়। এক কথায় এই মূল্যের ওপর কর গণনা হয়। যদি বেস প্রাইস কম হয়, তাহলে আমদানির খরচও কম হয়, যা বাজারে পণ্যের খুচরো দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই ক্ষেত্রে শোনার জন্য প্রতি ১০ গ্রাম বেস্ট প্রাইস ধার্য করা হয়েছে ৪২ ডলার, আর রুপোর জন্য প্রতি কেজিতে ১০৭ ডলার। এই হ্রাসের ফলে আমদানির খরচ নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং বাজারে সোনার দাম কমার পক্ষের দিক নির্দেশক হবে।
ভারতীয় সোনা আমদানির চিত্র
সোনা আমদানিতে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ গুলির একটি। সুইজারল্যান্ড থেকে প্রায় ৪০ শতাংশের সোনা আমদানি করা হয়, মধ্যপ্রাশ্য থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেও বড় অংশ আসে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ভারত ৪৮ টি দেশ থেকে সোনা আমদানি করেছে। এবং ২০২৪-২৫ সালে এই আমদানির প্রায় ২৭.৩ শতাংশ বেড়েছে।
এই বড় পরিমাণ আমদানির কারণে দেশের বাজারে সোনার মূল্য ও আমদানির খরচ উভয়ের উপরে নজর দেওয়া জরুরী। সে প্রসঙ্গে এই বেস প্রাইস একটি স্ট্র্যাটেজিক উদ্যোগ বলা যেতে পারে।
বাজারে কি প্রভাব পড়বে?
বেস প্রাইস হ্রাসের ফলস্বরূপ কয়েকটি সম্ভাব্য পরিবর্তন দেখা দিতে পারে:
- আমদানি শুল্ক ও কর কমার কারণে গহনা প্রস্তুত ও বিক্রয়ের খরচ কমাতে সক্ষম হবে
- খুচরা দ্রব্যমূল্য ধীরে ধীরে নমনীয়তা আসতে পারে ফলে ক্রেতারা সোনার গহনায় সস্তা পৌঁছতে পারবেন।
- গহনার বাজারে নতুন প্রবেশকারীর জন্য দামে প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
- দীর্ঘ মেয়াদে সোনার দাম লাখের গণ্ডির নিচে নামার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে একবারের দামে বিশাল পতন আশা করা ঠিক নয়। কারণ বাজারের মূল্য নির্ধারণের অনেক উৎপাদন ভূমিকা রাখে চাহিদা সরবরাহ, বৈদেশিক মুদ্রার হাওয়া, আন্তর্জাতিক সোনার বাজারের অবস্থা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ঠেকুয়া বিক্রিতে এক কোটি টাকার টার্নওভার! বিহারের দুই কিশোরের অদম্য উদ্যোগে গড়ে উঠল ‘শুদ্ধ স্বাদ’
এই সিদ্ধান্তের ফলে কখনো ও সোনার বাজারে চলনাকারীদের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের নামে সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন রাখতে পারলে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। ক্রেতাদের পক্ষে ও ভালো সময় হতে পারে যেহেতু সস্তায় সোনার গহনায় বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
অতীতে সোনার দাম দ্রুত ঊর্ধ্বগামী হয়েছে, সবচেয়ে সংক্ষেপে বলা যায় এক বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এই নতুন সিদ্ধান্তটা বাজারে ইতিবাচক সংকেত।
সোনার দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসার সরকারের সিদ্ধান্ত সুফল দিতে পারে। যদিও দামে দ্রুত পতনের পুরো ছবিই দেখা না গেলেও ধীরে ধীরে অভাবনীয় রূপে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সোনার বাজারে নিবেশকারী, গহনা ক্রেতা বিক্রেতা সবার জন্য এখন একটু মনোযোগ বাড়ানোর সময়।









